অভিযোগ রয়েছে, ভারতে ওই কিটের সরবরাহকারী সংস্থা রিয়েল মেটাবলিকস অনেক বেশি দামে করোনা পরীক্ষার এই কিটগুলি সরকারের কাছে বিক্রি করেছে। আর এতেই বিরোধ বাঁধে কিটের আমদানিকারক সংস্থা ও সরবরাহকারী সংস্থার মধ্যে। বিরোধ গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় সরকার, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর মাধ্যমে ২৭শে মার্চ একটি চীনা ফার্ম ওনডফো থেকে পাঁচ লক্ষ র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের কিট অর্ডার করে। চীনে থাকা ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিস্রি টুইট করেন, র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট এবং আরএনএ এক্সট্রাকশন কিটস সহ ৬,৫০,০০০ কিট ভারতে পাঠানো হয়েছে।
আমদানি সংস্থা ম্যাট্রিক্স প্রতিটি করোনা কিট ২৪৫ টাকা করে চীন থেকে কিনেছে। অথচ এদেশে সরবরাহকারী সংস্থা রিয়েল মেটাবলিকস ও আর্ক ফার্মাসিউটিক্যালস সেগুলো সরকারের কাছে প্রতিটি ৬০০ টাকা করে বিক্রি করেছে। যার অর্থ ৬০ শতাংশ বেশি লাভ করেছে তারা।
তবে ঝামেলা শুরু হয় যখন তামিলনাড়ু সরকার একই আমদানিকারক ম্যাট্রিক্সের কাছ থেকে অন্য সরবরাহকারী সংস্থা শান বায়োটেকের মাধ্যমে ওই একই দামে করোনা কিট কিনতে যায়। এরপরেই রিয়েল মেটাবলিকস সংস্থা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জানায় যে ম্যাট্রিক্সের আমদানি করা সমস্ত কিটের একচেটিয়া সরবরাহকারী সংস্থা তারাই এবং চুক্তি লঙ্ঘন করে তামিলনাড়ু সরকার আরেকটি সংস্থা শান বায়োটেকের থেকে ওই কিট কিনছে।
মামলার গতিপ্রকৃতি বিচার করে ওই করোনা কিটগুলোর দাম ৪০০ টাকা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
(সুমন/আমাদেরবাংলাদেশ)